‘হামজা সব্যসাচী, আজকে গোলকিপিংও করেছে’

SHARE

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ ফুটবল দল। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মোরসালিনের একমাত্র গোলে তারা ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন সাফল্যে স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধ মানছিল না। দর্শকদের মুখে হামজা চৌধুরীর প্রশংসা, আর অন্যদিকে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার প্রতি ক্ষোভ।

যাত্রাবাড়ী থেকে খেলা দেখতে আসা আশীষ বলেন, ভারত ম্যাচের আগ পর্যন্ত মনে হয়েছিল হামজার কেবল গোলকিপিংটাই বাকি। নয়তো সে তো বাকি সব দিকেই উজাড় করে খেলছিল। কিন্তু আজকে ফাঁকা বারের সামনে দাঁড়িয়ে যেভাবে চমৎকার এক হেডে গোল সেভ করল, তাতে গোলকিপারের দায়িত্বও সে পালন করে দিল। মানে ষোলকলা পূর্ণ করেছে সে। অলরাউন্ডারের ওপরে যদি কিছু থাকে, হামজাই সেটা। সে সব্যসাচী।

এরপর ক্যাবরেরার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকেও কিন্তু ক্যাবরেরার ভুলেই আমরা ম্যাচটা হারাতে বসেছিলাম। যারা মাঠে বসে খেলা দেখেছে, তারা ভালো করেই বুঝেছে ব্যাপারটা। তাই হামজা যখনই সুযোগ পেয়ে কাছে গেছে, ক্যাবরেরাকে জিজ্ঞেস করেছে এখন আমাদের কী করতে হবে। সম্ভবত সেই কারণেই আজকে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়নি। জয় নিয়েই ফিরেছি।

পাশে থাকা আরেক সমর্থক বলেন, আমরা আশা করি ক্যাবরেরার সঙ্গে বাফুফে আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না। তারপরও যদি বাড়ায়, আমরা ফ্যানরা অবশ্যই মাঠে নামব। তখন ব্যাপারটা ভয়াবহ পর্যায়ে যাবে। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচকে ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনার কোনো ঘাটতি ছিল না। অল্প সময়ের মধ্যেই টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যায়। কিন্তু খেলা শুরুর পরও গ্যালারির কিছু অংশ ফাঁকা দেখা যায়। এ নিয়ে সমর্থকদের অভিযোগ, বাফুফে বিজনেস করবেন ভালো কথা, কিন্তু আমাদের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। আপনারা বলেছেন ২ মিনিটেই টিকিট শেষ, অথচ এখানে খেলার আগমুহূর্তে অনেক বেশি দামে টিকিট বিক্রি হয়েছে। মানে নামে-বেনামে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি হয়েছে। এটা ভালো কিছু নয়, এভাবে চলতে থাকলে হামজাও ডিস্টার্ব ফিল করবে।