বুরুন্ডি থেকে ভ্রমণকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গ্রেট লেকস অঞ্চলের ছোট্ট এই রাষ্ট্রে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সোমবার এমনটাই জানিয়েছে। এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে ‘বারবার নিয়ম লঙ্ঘন’কে দায়ী করা হয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত বুরুন্ডি ছিল সেই সাতটি দেশের একটি, যাদের বিরুদ্ধে গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির আওতায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ ছাড়া তার প্রশাসন আরো ১২টি দেশের জন্য পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যাদের বেশির ভাগই আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর অন্তর্গত। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাপক সমালোচনা ও আইনি পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
মার্কিন দূতাবাস এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এদিন জানায়, ‘ভিসার নিয়ম মেনে চলা শুধু ব্যক্তিগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি জাতীয় বিষয়ও। দুঃখজনকভাবে, বারবার নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে বুরুন্ডির নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভিসা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
’
এ নিষেধাজ্ঞার পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আসুন, আমরা নিয়ম মেনে চলি। কারণ একজন ব্যক্তির কাজ পুরো একটি জাতির জন্য দরজা বন্ধ করে দিতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বুরুন্ডিয়ানদের ১৫ শতাংশের বেশি ভিসার মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে, যেখানে চাদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৯ শতাংশ ও জাপানের ক্ষেত্রে মাত্র ০.১৫ শতাংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুরুন্ডি সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ‘আলোচনা চলমান’ এবং তিনি আশাবাদী।
এর আগে গত জুনে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসাসংক্রান্ত ভ্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বুরুন্ডিয়ানদের ভিসা স্থগিত করা হয়। সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ১২টি দেশের মধ্যে রয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বিষুবীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, সোমালিয়া ও সুদানের মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট যাচাই ও প্রক্রিয়াকরণে ‘যোগ্য’ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অভাব রয়েছে। অন্য দেশগুলোর বেলায় অতিরিক্ত হারে ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করে থাকার প্রবণতা উল্লেখ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে।