পদত্যাগ করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে আগের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নয়, নিজের দল আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। দলের মধ্যে বিভেদের রেখাপাত অঙ্কিত হওয়ার প্রেক্ষিতে বুধবার দলের নির্বাহী সভার বৈঠকের আগ মুহূর্তে ওই ঘোষণা দেন তিনি।
এএপির ২১ সদস্যের জাতীয় নিবার্হী পরিষদের বৈঠক আজ একটু পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভিন্নমতাবলম্বনকারী দলের দুই শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বুসান ও যোগেন্দ্র যাদবের ভাগ্য নির্ধারিত হবে এখানে।
ধারণা করা হচ্ছে, দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ওই দুই নেতাকে। তবে যদি এ সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয় তাহলে দলটির নতুন আরেকটি শাখা সৃষ্টি হতে পারে দিল্লির রাজনীতিতে।
নির্বাহী কমিটির ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না কেজরিওয়াল। চিকিৎসার জন্য তিনি আজই বেঙ্গালুরুর যাচ্ছেন।
তবে বেঙ্গালুরুরতে যাওয়ার আগে কেজরিওয়াল বলেন, দল এ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। এএপির প্রতি দিল্লিবাসী যে আশা জাগিয়েছেন সেই বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এটি। তিনি জনগণের বিশ্বাস ভাঙার অনুমিত দেবেন না কখনো।
আর আগে দল থেকে কেজরিওয়ালকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে ওই নেতার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জনলোকপাল বিল পাস না করার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন কেজরিওয়াল।