ফখরুলসহ ৪৬ নেতাকর্মীর চার্জ শুনানি ফের পেছালো

SHARE

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।image_112251_0

বুধবার হরতালের কারণে আসামিরা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি বলে সময়ের আবেদন করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হকের আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক চার্জ শুনানি পিছিয়ে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
করেন। দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল হরতাল চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গত ২০১২ সালের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির দ্প্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহম্মেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমীর মকবুল হোসেন, সোহেল মিয়া, মো. জসীম, মো. মানিক রতন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন্নবি খান সোহেল, স্বোচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু,  ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর,ঢাকা মহানগন যুবদলের সেক্রেটারি মজনু, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তর’র স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক শক্তির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আ. মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক-১ ওবায়দুল হক নাছির, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক কামাল আনোয়ার,  বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ার হোসেন, বিএনপি’র ওয়ার্ড সভাপতি এল রহমান, বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, খিলগাঁও থানা বিএনপি’র সভাপতি ইউনুছ মৃধা, ঢাকা মহানগর জামাত নেতা বুলবুল, ছাত্রশিবির প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন ও মোহাম্মদপুর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন। এ মামলায় এজাহারভূক্ত আসামিদের মধ্যে কেবল আব্দুল জব্বারকে চার্জশিটে বাদ দেয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি ও সমমনা দল আহুত হরতাল সফল করার জন্য আসামি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এমকে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, রুহুল কবির রিজভী, কর্ণেল (অব.) অলি আহম্মেদ, ডা. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও মকবুল হোসেনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় অপর আসামিরা ৭/৮টি মাইক্রোবাসে এসে গত ২৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট রোডস্থ ফ্যালকন টাওয়ারের সামনে রাত ৯টা ৫ মিনিটের সময় ঢাকা-মেট্টো- জ-২১০৯ বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।