‘অবরোধ-হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চলবে’

SHARE

ugcবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলেছে,দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চলবে।

রোববার দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে সভা করে এ কথা বলেছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব উদ্যোগে শিক্ষাকার্যক্রম চালাবেন। সেশনজট দূর করবেন।’

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করে আজাদ চৌধুরী বলেন, যদি পেট্রলবোমা মেরে, বোমা মেরে শিক্ষাকার্যক্রম ধ্বংস করা যায়; তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকের মতো হবে।

সভায় উপস্থিত উপাচার্যরা হরতাল-অবরোধে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে কয়েকজন উপাচার্য বলেছেন, হরতালের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চালু রাখা যায় না। এ জন্য ক্লাসের সমস্যা হচ্ছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুক্র ও শনিবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সব সময় আলোর সঙ্গে অন্ধকারের দ্বন্দ্ব থাকবেই। এটা নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে। তবে এ অবস্থায় একটু ঝুঁকি তো থেকেই যায়। হরতাল-অবরোধে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার কৃতিত্ব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষার্থীরা আর সেশনজটে পড়তে চায় না।

ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ জানান, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর কোনো ক্লাস কামাই দেওয়া হয় না। কোনো ক্লাস কামাই গেলে অতিরিক্ত ক্লাস করে তা পুষিয়ে নেওয়া হয়।

সভায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকুল হক হরতাল নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া সভায় আরও কয়েকজন উপাচার্য বক্তব্য দেন।