ভাবিকে ধর্ষণ-হত্যার অভিযোগে দেবরের ফাঁসি

SHARE

court260ভাবিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দেবর আলমগীরকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার ঢাকার পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া দেবর আলমগীরেরসহ অপর দুই বন্ধু রিপন ও রাহিদ হাসান মিলনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো একবছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আসামি আলমগীর ও রিপনকে রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি রাহিদ হাসান মিলন জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতো দেবর আলমগীর। এতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই বাসা থেকে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে ঢাকার দোহার থানার জয়পাড়া এলাকা থেকে ভিকটিমকে অপহরণ করে আসামি আলমগীর ও তার দুই বন্ধু।

এরপর ভিকটিমকে একটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন নৌকায় নিয়ে অপর দুই বন্ধুর সহায়তায় ধর্ষণ করার পর হত্যা করে আলমগীর।

এরপর তার পেট কেটে ও গলায় রশিতে ইট বেঁধে ইছামতী নদীতে ফেলে দেয়।
ঘটনার চার দিন পর ২০০৬ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার ভিকটিমের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা আলমগীরকে আসামি করে দোহার থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৩ অক্টোবর তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন দোহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন।

রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।