মশা নিধনে সুপারভাইজারদের দায়িত্ব নিতে হবে : মেয়র আতিক

SHARE

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিযুক্ত স্ব স্ব সুপারভাইজারকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনে সুপারভাইজারদের এক প্রশিক্ষণে এমনই নির্দেশনা দেন তিনি।

এ সময় সুপারভাইজারদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, নগর ভবন থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নিজেদের ওয়ার্ডে মশক নিধন করতে হবে। সেখানকার মশক কর্মীদের দিয়ে কাজ সম্পাদন করতে হবে। কে কে ফাঁকি দিচ্ছে, কার কী কাজ, কোথাও ফগিং হচ্ছে কি-না, এসব ব্যাপারে মশক কর্মীকে তদারকি করবেন সুপারভাইজাররা।

কাউন্সিলররা সুপারভাইজারদের মনিটরিং করবেন উল্লেখ করে সুপারভাইজারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কখন, কোথায়, কীভাবে স্প্রে করতে হবে- আজকে না শেখা পর্যন্ত কেউ বের হবেন না। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আগামী ২ তারিখ থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে মশক কর্মীদের শেখাতে হবে।

সুপারভাইজারদের সতর্ক করে আতিক বলেন, এখানে তিন ধরনের সুপারভাইজার আছেন। আমাদের সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত, মশক নিবারণ অধিদফতর থেকে এবং আউটসোর্সিং থেকে আসা সুপারভাইজার। আগে কী করেছেন, না করেছেন ভুলে যান। মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সেটা আজ থেকেই শুরু করতে চাই। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে হবে, আগে ২ ঘণ্টা না ৩ ঘণ্টা ডিউটি করেছেন, ভুলে যান। নিজের পুরো ওয়ার্ডকে সুপারভাইজারদের মুখস্থ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এখন আধুনিক যত প্রযুক্তি আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। এ জন্য কিটতত্ত্ববিদদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আপনারা আমাদের বলুন কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে মশা মারা যায়। সিটি করপোরেশনের যেমন দায়িত্ব আছে, সঙ্গে সঙ্গে নগরবাসী যারা আছেন সকলে মিলে সুন্দর ঢাকা শহর যেন গড়তে পারি, সেটাই করবো।’

মশক নিধনে ডিএনসিসির কর্মকাণ্ড নিয়ে মেয়র বলেন, ‘এবারই প্রথম মশক নিধনে চলমান অভিযানে বিপুল অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই থেকে যে অভিযান শুরু হয়েছে আজ অবদি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে সুপারভাইজাররা প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক ট্রেনিং প্রশিক্ষণ করাবেন। সেখানে যারা মশক কর্মী তাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। সুতরাং আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে মশাটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।’

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, কীটতত্ত্ববিদ প্রফেসর কবিরুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।