চট্টগ্রামেও বাড়ছে করোনা রোগী, একদিনেই শনাক্ত ১৫৩

SHARE

শীত শেষে গরমের হাওয়া শুরু হতেই পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে আবারো বেড়ে গেছে মহামারী করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গেল সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই শতাধিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলায়। এবার তাও ছাড়িয়ে গেছে গত ১৪ মার্চ রবিবার। এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে ১ হাজার ৭শ ১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১শ ৫৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে আগেরদিন জেলায় একসাথে দুজনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও রবিবার চট্টগ্রামে করোনায় কেউ মারা যাননি।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৩৬ হাজার ৫শ ৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ২ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩শ ৮১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতেই মৃত্যুবরণ করেছে ২শ ৭৯ জন এবং বাকি ১শ ২ জন মৃত্যুবরণকারী সবাই বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের গত ১৪ দিনে চট্টগ্রামে নতুন করে এক হাজার ৪শ ৫৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার ১৪ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ২শ ৬৭ জন। সর্বশেষ রোববার টিকা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯শ ১৯ জন।

এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ হাজার ৭শ ৯২ জন এবং উপজেলায় ২ হাজার ১শ ২৭ জন। করোনার টিকা গ্রহণের পরও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনার টিকা কাজ করে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৫ দিন পর থেকে। তাও সংক্রমণ ঠেকাতে এই টিকা কাজ করবে ৭০ ভাগ। বাকি ৩০ ভাগ ঝুঁকি থেকেই যাবে। সুতারাং করোনা থেকে বাঁচতে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। তাই জনসাধারণের সচেতন হতে হবে। না হয় প্রশাসনের তদারকিতেও কাজ হবে না।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে সোমবার ১৫ মার্চ থেকে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন। কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের জনবহুল স্থান, বিভিন্ন মোড়ে ও বিনোদন কেন্দ্রে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হবে জানায় জেলা প্রশাসন।