জসিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে পুলিশ: শিবির

SHARE

shibir28রাজধানীর শেরেবাংলানগরে তালতলা নতুন রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শিবির নেতা জসিম উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি ছাত্রশিবিরের। জসিম উদ্দিন ছাত্রশিবিরের মিরপুর পূর্ব থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় জসিম উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান। তারা বলেন, “জসিম উদ্দিনকে গুলি করে খুন করেছে ডিবি পুলিশ।”

প্রতিবাদ বার্তায় শিবির দাবি করেন, “শনিবার সকাল আটটায় রাজধানীর শ্যামলীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা শিবির। সেখান থেকে ফেরার পথে লেগুনা থেকে নামিয়ে মিরপুর পূর্ব থানা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন হাওলাদারসহ চারজনকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শ্যামলীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং চারজন আটকের এ খবরটি সকল টিভি চ্যানেলসহ সব মিডিয়াতেই ফলাও করে প্রচার করা হয়। এরপর চারজনকে থানা থেকে ডিবিতে নিলে সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয়া হয়, যা শনিবার বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।”

শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি বলেন, “কিন্তু এর পরও নিরপরাধ জসিম উদ্দিনকে রাতের অন্ধকারে কোনো এক সময় ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে ডিবি পুলিশ। নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে পুলিশ রাষ্ট্রীয় এই খুনকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজায়। নিহত জসিম উদ্দিন মিরপুর কাজীপাড়া মাদরাসার ফাজিল শেষ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল মহানগরীর বন্দরহাট থানার কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামে। জসিম উদ্দিনের বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “পুলিশ যদি ঘাতকতায় বেশি আগ্রহী হয় তাহলে তাদের ঘোষণা দিয়ে পবিত্র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া দরকার। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, পুলিশের পোশাকে জল্লাদের ভূমিকা মেনে নেয়া হবে না। নরঘাতকদের পরিচয় ছাত্রজনতার কাছে অজানা নয়। অবিলম্বে এই নির্মম বর্বরতা বন্ধ করে খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজের হাত দুর্বল নয়। এভাবে একের পর এক ছাত্রদের হত্যার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। জান-মাল রক্ষায় প্রয়োজনে যা করার তা-ই করার সিদ্ধান্ত নিবে ছাত্রসমাজ।”