ক্যান্সার রোধ গ্রিন টি

SHARE

green treeগ্রিন টি বা সবুজ চায়ের উপকারিতা অনেক। পানীয়টি মানুষের মুখের ক্যান্সার ঠেকাতে ভূমিকা রাখে। ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ জন্মাতে বাধা দেয় গ্রিন টি। পাশাপাশি উপকারী কোষকে উজ্জীবিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক প্রতিবেদনে জানান এ তথ্য।

ক্যান্সার প্রতিরোধে এর আগেও একাধিক প্রতিবেদনে জানা গেছে গ্রিন টির গুণের বিষয়ে। মুখ গহ্বরের ক্যান্সার রোধে বিশেষ ধরনের এ চায়ের গুণ নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ হয়। ক্যান্সার প্রতিরোধে গ্রিন টির কার্যকারিতার তথ্য প্রথম জানা যায় ২০০২ সালের এক প্রতিবেদনে। তবে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় আরো সুস্পষ্ট তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য, গবেষণাগারে ক্যান্সারে আক্রান্ত মুখের কোষ ও সুস্থ কোষ জমা করেন। এর পর এগুলোকে ইজিসিজি নামে একশ্রেণীর যৌগের সংস্পর্শে আনেন। যৌগটি গ্রিন টিতেও বিদ্যমান।

গবেষণা প্রতিবেদনের প্রবন্ধকার জশুয়া ল্যামবার্ট ইয়াহু নিউজকে জানান, যৌগটি স্বাভাবিক কোষকেও সতেজ করে। অবশ্য এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না, ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজে আসবে গ্রিন টি। কেননা খুব বেশি রোগীর তথ্য নিয়ে তুলনামূলক পরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়নি। তবে গ্রিন টির যৌগটি কাজে আসবে বলে আশাবাদী হওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘যদি ভবিষ্যতে যৌগটি মানবদেহে প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়, তবে মুখের ক্যান্সার প্রতিকারে কাজে লাগবে গ্রিন টি। যারা ক্যান্সার চিকিত্সায় কেমোথেরাপি নেন, তারাও উপকার পাবেন।’

প্রতি বছর ৮ হাজার মার্কিন মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আক্রান্ত হন ৪৩ হাজারের বেশি। বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারের চিকিত্সা এখনো কেমোথেরাপি, সার্জারি ও রেডিয়েশনের মধ্যে সীমিত। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাথার চুল পড়ে যাওয়াসহ অন্য জটিলতায় পড়েন রোগী। কিন্তু গ্রিন টি পান করলে অন্তত তেমন জটিলতায় ভুগতে হয় না রোগীদের।

প্রসঙ্গত, বিশেষ প্রজাতির চা গাছের পাতা প্রক্রিয়াজাত করে গ্রিন টি প্রস্তুত করা হয়।