তরিকুলসহ বিএনপির চার নেতার বাড়িতে বোমা হামলা

SHARE

jessoreবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এবং যশোর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার গভীর রাতে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এসব নেতার বাড়িতে প্রায় একই সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের শহরের ঘোপের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা পর পর দুটি বোমা ছুড়ে মারে।

তরিকুল ইসলামের স্ত্রী অধ্যাপক নার্গিস বেগম জানান, ঘটনার সময় তিনিসহ কেয়ারটেকার বাড়িতে ছিলেন। বিকট শব্দে বোমা দুটি বিস্ফোরিত হয়।

এর পর রাত একটার দিকে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর উপশহর ডি ব্লকের বাড়িতে। তিনি জানান, বোমা দুটি তার ঘরের জানালায় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। পর্দার কিছু অংশ পুড়ে যায়।

এর পর উপশহর এলাকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘গাঙচিল’-এ পেট্রোলবোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে আশপাশের লোকেরা এসে আগুন নেভায়। একই সময় উপশহর মানসী সিনেমা হলের সামনে আরও দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

যশোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু জানান, দুর্বুত্তরা গভীর রাতে তার কারবালা এলাকায় বাড়িতেও শক্তিশালী দুটি বোমা নিক্ষেপ করে।

গভীর রাতে এভাবে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে গোটা শহর কেঁপে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। কী ঘটেছে তা জানতে বহু মানুষ গণমাধ্যম, পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।

এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের খবর শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত জানি না।”

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত জানি না।”

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রেশমা শারমিন বলেন, “এ ধরনের খবর আমাদের কাছে আসেনি। এখন শুনলাম খোঁজ নিয়ে দেখব।”

উপশহর এলাকাবাসী জানান, বুধবার বোমা বিস্ফোরণের আগে পরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে বেশ কিছু যুবককে মুখবাঁধা অবস্থায় এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, পর পর গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, যশোর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ২০ দলীয় জোটের কয়েকশ নেতাকর্মীর নামে একাধিক মামলা হয়েছে। এ কারণে জোটের শীর্ষ সব নেতা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন।