শুভেচ্ছায় ভাসছেন গুলতেকিন

SHARE

বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমদকে বিয়ে করেছেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকাতেই ছোট পরিসরে গুলতেকিন-আফতাবের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদের কবি এবং লেখক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। আফতাব আহমদের সঙ্গে গুলতেকিনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। এদিকে গুলতেকিনের বিয়ের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজী কবি গুলতেকিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, সবারই সুখী হওয়ার অধিকার রয়েছে। অভিনন্দন। কেউ কেউ বলছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি (গুলতেকিন) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আরও আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো। অনেকেই বলেছেন, আমাদের সমাজে জীবনের এই পর্যায়ে এটা করতে যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন। এটা অনেককে উৎসাহ যোগাবে।

শাহনেওয়া কাকলী লিখেছেন, গুলতেকিন। এই সমাজের একজন বিশেষ ব্যক্তি। নব্বই দশকের পাঠকের এই নামটির সাথে বেশ পরিচয় আছে। আমাদের বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র প্রথম স্ত্রী যিনি সদ্য দ্বিতীয় বিয়ে করে জীবনকে সুন্দর করে তুলবার সুন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাকে অভিনন্দন। মননে তিনি আধুনিক যিনি জরাজীর্ণ প্রথা ভেংগে নতুনভাবে পথ চলতে পারেন। লুকিয়ে নয়, পালিয়ে বিদেশ গিয়ে নয়, পরকীয়া করে নয় পুরো সমাজকে জানিয়ে তিনি নতুন জীবনে প্রবেশ করলেন তাকে স্যালুট! Man can’t live alone & without work. এই দুটো নিয়েই মানুষের সমগ্র জীবন।

জাকির হোসাইন মুনশি নামের একজন বলেছেন, ‌এমন সুন্দর সিদ্ধান্ত তো আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল, হয় তো ছেলেমেয়ে ছোট থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত আগেই নেননি। তাদের দাম্পত্য সুখের হোক এই কামনা করি।

আজিজুর রহমান শাহীন লিখেছেন, দেরিতে হলেও গুলতেকিন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। শুভ কামনা উভয়ের জন্য।

ফেরদৌস আজম লিখেছেন, খুব ভাল হয়েছে। বিবাহ হলো সব নবী রাসুলের সুন্নাত। বাংলার সমগ্র মুমিন মুসলিম জনগণ এই বিবাহকে সমর্থন করবে। ইসলাম ধর্ম সব সময় এই ভাল কাজকে সমর্থন দেয়।

গুলতেকিন খান প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাবেক স্ত্রী। গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। আফতাব আহমদ আগে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। আফতাব আহমদ অভিনেত্রী আয়েশা আখতারের ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন।