শামসুল হত্যায় ৬ জনের ফাঁসি

SHARE

রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায় হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।image_112124_0

আট বছর আগে ভুয়া বিল তৈরি করে এক কোটি ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা জেনে যাওয়ায় তাকে খুন করা হয়।মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন  এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- টেলিকম বিভাগের অফিস সহকারী মো. হাফিজুল হোসেন, হিসাবরক্ষক মো. আবদুল লতিফ, সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেন সরকার, বাবুল ওরফে তপন চক্রবর্তী, মো. ওয়াসিম ও মো. কাজল মিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- শামসুল আলম (উপস্থিত) ও রাজন মিয়া (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে এক কোটি ৪৫ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল তৈরি করে অফিসে জমা দেন। পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেন জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাট ও ট্যাক্স কর্তন করে নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সার একটি চেক মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে প্রদান করেন।

পরবর্তী সময়ে এই চেকটি আব্দুল লতিফ হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে থাকা উত্তরা ব্যংকের ৯৬৪ নম্বর চলতি হিসাবে জমা দেন এবং টাকা তুলে আসামি আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য আসামিরা ভাগ-বণ্টন করে নেয়। ঘটনাটি জেনে যান অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায়। এরপর আসামিরা ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৪৫ মিনেটে এজিবি কলোনিতে তাকে গলা কেটে হ্ত্যা করে। এ ঘটনার দিনই বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মতিঝিল থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন এবং ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

আদালত মামলাটিতে মোট ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আবু আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহুবুবর রহমান, অ্যাডভোকেটমো. জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মো. আজহারুল ইসলাম।