সীমান্তহত্যা শূন্যে আনতে ফের প্রতিশ্রুতি বিএসএফের

SHARE

সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে আবারো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের একার পক্ষে সীমান্তে হত্যা বন্ধ সম্ভব নয়, কাজ করতে হবে যৌথভাবে।image_112050_0

সোমবার বিজিবি সদর দফতরে বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত সম্মেলনের চতুর্থ দিন শেষে যৌথ সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক দেবেন্দ্র কুমার পাঠক এ প্রতিশ্রুতি দেন। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সীমান্ত সম্মেলন চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, “সীমান্ত সম্মেলনে ভারত বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। এ সম্মেলন দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেবে।”

সীমান্তে হত্যার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, “যেকোনো দেশের নাগরিকই যখন প্রাণ হারান তখন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে পরিসংখ্যান বলছে সীমান্তে হত্যা আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে।”

২০০৭ সালে সীমান্তে বিভিন্ন কারণে ১০৬ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে, সেখানে ২০১২ সালে সে সংখ্যা ১১ জন দাবি করেন তিনি।

দেবেন্দ্র কুমার পাঠক বলেন, “একার পক্ষে সীমান্তে হত্যা বন্ধে কাজ করা সম্ভব না। এজন্য বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে সীমান্তে হত্যা বন্ধে কাজ করতে চায়। এরকম ঘটনাকে আমরা শূন্যে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছি।”

আদালতে বিচারাধীন হওয়ায় ফেলানী হত্যার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

বৈঠকে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান, অবৈধভাবে মানব পাচার, অস্ত্র ব্যবসা, সীমান্তে অপরাধে জড়িতদের আটকের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ বলেন, “আমরা সীমান্তে যেসব এলাকায় মানুষ হত্যার শিকার হয় সেইসব জায়গা চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করেছি। সেইসব জায়গায় যেন অপরাধ না ঘটে প্রয়োজনে যৌথভাবে টহল দেয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনাও হয়েছে।”

আজিজ আহমেদ বলেন, “বিএসএফ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির সহায়তা চেয়েছিল। বিজিবি তাদের জানিয়েছে বাংলাদেশে কোনো ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেই।”

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সীমান্ত সম্মেলন মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনে ভারতের ১৯ সদস্যের ও বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।