নিউএজ কার্যালয়ে পুলিশ

SHARE

ইংরেজি দৈনিক নিউএজ এর কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করে ফিরে গেছে। এ নিয়ে পত্রিকার কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডা হয়। তল্লাশির সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে না পারায় পুলিশকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেননি তারা।image_111909_0

রাত পৌনে নয়টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার (ওসি) সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিউএজ এর কার্যালযে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে চায়। এ সময় সাংবাদিকরা পুলিশকে কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়ে পুলিশের কাছে তল্লাশির কারণ জানতে চান। এ সময় পুলিশ কোনো লিখিত কারণ দেখাতে পারেনি বলে দাবি করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা। পরে পুলিশ তল্লাশি না করেই ফিরে যায়।

উল্লেখ্য, দৈনিক নিউএজে কর্মরত বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের শাস্তি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এর সম্পাদকীয় মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।  রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।বিবৃতির অনুলিপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে। গত ২ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ইংরেজি দৈনিক নিউএজের বিশেষ প্রতিনিধি ডেভিড বার্গম্যানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে সাত দিনের কারাদ- দেয়া হয়। এ রায়ের পর নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। এর মধ্যে নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রকাশিত সম্পাদকীয় আমলে নিয়ে রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সম্পাদীয় মন্তব্য স্বীকৃত সীমার লংঘন। এটা দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি যে, প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস এর সম্পাদকীয় বোর্ড এমন মন্তব্য করতে পারে যে, ট্রাইব্যুনাল যে ন্যায় বিচারের সন্ধানে রয়েছে সে ন্যায় বিচার যদি তারা চায় তাহলে ট্রাইব্যুনালের উচিত অনতিবিলম্বে বার্গম্যানের শাস্তি প্রত্যাহার করা। এটা বুঝতে আমরা অক্ষম নিউইয়র্ক টাইমস এর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদপত্র কিভাবে একটি স্বাধীন দেশের আদালতকে বার্গম্যানের সাজা প্রত্যাহার করতে বলতে পারে।