গুজবে মাতলো গোটা দেশ!

SHARE

শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এনএসআই’র যুগ্ম-মহাপরিচালক আবু সাঈদ রায়হান।image_111684_0

তিনি বলেন, “ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব।” এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শুধুই গুজবে মেতেছিল গোটা বাংলাদেশ।

১৭ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এ কথা জানান দায়িত্বরতরা।

এর আগে শাহজাহানপুর থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেছিলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য রশির সঙ্গে বস্তা বেধে নিচে ফেলা হয়েছে। তবে, যে গর্তে শিশুটি পড়েছে সেটি অপরিসর হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, পাইপে রশি বেঁধে শিশুটিকে খাবার ও পানীয় পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, অন্ধকারে যাতে ভয় না পায়, সেজন্য দুটি টর্চ লাইটও পাঠানো হয়েছে। আর ওপর থেকে ডাকা হলে এবং জিনিসপত্র পাঠাবার পর শিশুটি কয়েকবারই সাড়া দিয়েছে বলেও জানাচ্ছিলেন কর্মকর্তারা।

কিন্তু, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইপটিতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা নামানো হয়।
এটি দিয়ে সেখানে শিশুটির অবস্থান দেখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে, সেখানে নানা ধরনের পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে থাকতে দেখা গেলেও কোনো শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

শিশুটিকে উদ্ধারের অভিযান নিয়ে গণমাধ্যমে নানা বিতর্ক উঠলেও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, পরিত্যক্ত যেসব জিনিসপত্র ক্যামেরাতে দেখা গেছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা নিতে এবং এরপর শিশুটির সন্ধান চালাতে।

উদ্ধার তৎপরতার পরবর্তী ধাপে ক্রেন ব্যবহার করে পরিত্যক্ত জিনিসপত্র সরানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন ঘটনা বিরল, তবে সব ধরনের চেষ্টা তারা করছেন।

তিনি বলেন, শিশুটি যদি মারা গিয়ে থাকে, অন্ততপক্ষে তার মৃতদেহটিও যেন তারা উদ্ধার করতে পারেন, সেই চেষ্টা করছেন তারা।