‘জগলুলের মৃত্যুতে জাতি একজন অভিভাবক হারাল’

SHARE

বিশিষ্ট সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরীর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিভাবককে হারাল বলে মেনে করছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। মন্ত্রী বলেছেন, “তিনি (জগলুল আহমেদ) আমার আত্মীয় হওয়ায় তাকে আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি। তার এমন আকস্মিক মৃত্যু আমি মানতে পারছি না।”
image_111436_0
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জগলুল আহমেদের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াদির বিশ্লেষক জগলুল আহমেদ চৌধূরী রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাসের ধাক্কায় মারা যান।

জগলুল আহমেদ চৌধূরীর স্মৃতিচারণা করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, “আমরা ধানমন্ডিতে একসাথে থাকতাম। ফলে তার সাথে সম্পর্কটাও ছিল আন্তরিক। তার আকস্মিক মৃত্যুর কথা স্মরণ হলে আমার মন এখনো কাঁদে। তাকে হারিয়ে জাতি একজন অভিভাবক হারিয়েছে।”

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, “আমি যখনই তাকে (জগলুল আহমেদ) ডাকতাম, তখনই তিনি সাড়া দিতেন। কখনোই বিরক্ত হননি। সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরীর আত্মার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।”

জগলুল আহমেদ চৌধূরীর দুর্ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত লোকজনের নিস্পৃহতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “তিনি (জগলুল) আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলেন। অনেক লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনেক গাড়ি পাশ দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য একটি গাড়িও দাঁড়ায়নি।”

শ্যামল বলেন, “গাইবান্ধার একটি ছেলে সবাইকে বলে তাকে হাসপাতালে নিয়েছে। কিন্তু এমন একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে যেটি ৬৩ জন ডাক্তার পরিচালনা করলেও সেখানে একটি আইসিইউ নেই। তাই তার মৃত্যুর দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমরা সবাই দায়ী।”

সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার, জগলুল আহমেদের বড় ভাই রোকনউদ্দিন চৌধুরী, বোন সেলিনা হোসেন চৌধুরী, মেয়ে অন্তরা চৌধুরী, ছেলে নাভিদ আহমেদ চৌধুরী, বন্ধু আবুল কালাম আহাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।