‘অর্থপাচার বন্ধে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার’

SHARE

‘অর্থপাচার বন্ধে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে গণমুখী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নতুন অর্থবছরের এই হিসেব নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরাও ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় বাজেট পেশ করে ইতিহাসে নতুন অধ্যায় গড়েছেন প্রধানমন্ত্রী; শুধু তাই নয়, রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনেও, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে বাজেটের খুঁটিনাটি নানান দিকও উপস্থাপন করলেন সরকার প্রধান নিজেই।

শুক্রবার বেলা তিনটায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। আয়োজনের শুরুতেই বাজেটে উল্লেখিত বিভিন্ন খাত নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। আগামী চার বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন- আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা চায় সরকার।

টানা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাজেটের সারসংক্ষেপ তুলে ধরার পর, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, অর্থপাচার বন্ধে কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিতে নয়, বরং সামগ্রিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতেই এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কল্যাণমুখী এই বাজেটে প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবে উল্লেখ করে, সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভালো না লাগাদের কিছুতেই ভালো লাগে না।

যোগাযোগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, প্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব বিষয়কেই প্রাধান্য দেয়া নতুন অর্থবছরের এই বাজেট ২০৪১ নাগাদ সমৃদ্ধ দেশ গড়তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।