পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করবে আমিরাত

SHARE

বাংলাদেশের পায়রা সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফরে আসছে দেশটির দুই শীর্ষ কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড ও মুবাদালা।image_108705_0

গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরব আমিরাতের সফর নিয়ে কথা বলার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান। তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ডিপি ওয়ার্ল্ড চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিল সুলায়েম তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাকে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র বন্দরে ও মিরসরাইয়ে ২৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ প্রজেক্টে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।”

সফর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার এ দুটি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য আমিরাত সরকারের কাছে পাঠায়।

আগামী বছর আমিরাতের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ সফরে আসবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা পায়রা বন্দর ও মেরিন ড্রাইভ প্রজেক্ট নিয়ে ডিপি ওয়ার্ল্ড ও মুবাদালার সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

ছয়টি মহাদেশে ৬৫টিরও বেশি সামুদ্রিক বন্দর নির্মাণে সুনাম রয়েছে ডিডি ওয়ার্ল্ডের। এটি এখন ভারত, আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রজেক্ট অব্যাহত রেখেছে।

মুবাদালা একটি বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠাতা কোম্পানি। সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে এটি কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নে এ কোম্পানি ৬০.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আরব আমিরাত ও দুবাইয়ে যেসব সামুদ্রিক ব্যবসায়ীদের পরিবহন ভিসা প্রয়োজন সে জটিলতাও দূর করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অনেক আর্ন্তজাতিক জাহাজ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের লোকদের নিয়োগ দিচ্ছে এবং তাদেরকে দোবাই জাহাজে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নাবিকদের ভিসা না থাকার কারণে তারা দুবাই যেতে পারছে না। আর এ সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে অন্য দেশের নাগরিকরা।

গত ২৮-২৯ অক্টোবর জলদস্যুদের নিয়ে দুবাইয়ে আয়োজিত এক সভায় এ বিষয়টি তোলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে আমিরাত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমিরাত সরকার এ সমস্যার বিষয়টি একন দেখছে। আশা করি খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।”-ইউএনবি।