প্রধান বিচারপতির বিচার হবে জন-আদালতে: হাছান মাহমুদ

SHARE

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সব আদালতের বড় আদালত জনতার আদালত, প্রধান বিচারপতির বিচার হবে জনতার আদালতে। তার বিরুদ্ধে জনতার আদালত তৈরি হচ্ছে। তার অপরাধের খতিয়ান বেরিয়ে আসছে।

আজ সোমবার দুপুরে শাহবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত ‘রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির রাজনৈতিক অসত্য মনগড়া বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতির ‘টেক্স  সংক্রান্ত অসঙ্গতিসহ যে সকল অপরাধের অভিযোগ দেশেৱ মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে সে জন্য অন্য বিচাৱপতিরাসহ পুরো আইনজীবী সমাজ আজ লজ্জিত। সে জন্য তিনি আর তার পদে থাকতে পারেন না।

তিনি বলেন, আপনি (প্রধান বিচারপতি) এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন অনেক আগে। আপনি শুধু সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে নয়, শুধুমাত্র শপথ ভঙ্গের অপরাধ নয়, দুর্নীতিবাজ বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের কার্যক্রম স্থগিত করার অপরাধে দুদক আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ও অপরাধ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আপনি (প্রধান বিচারপতি) মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার আলবদর এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন সেটা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। সেই কারণে আপনি পাকিস্তানের উদাহরণ দিবেন এটি খুবই স্বাভাবিক। অনেক শান্তি কমিটির সদস্য পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন, চাইলে আপনিও চলে যেতে পারেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বন্যায় কবলিত, আর আপনাদের নেত্রী তারেক জিয়া আর তার বউকে নিয়ে শপিং-এ ব্যস্ত। আমাদের নেত্রী বন্যার্তদের পাশে গিয়ে তাদেরকে পরম স্নেহে মমতায় বুকে টেনে নিয়েছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন যে যাদের ঘর ভেঙে গেছে, ঘর বন্যায় ভেসে গেছে তাদের ঘর বেধে দেওয়া হবে। যাদের ফসল হানি হয়েছে তাদেরকে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে এবং দশ টাকা দরে পঞ্চাশ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে। আর বিএনপি নেতারা ঢাকা শহরে সকাল, দুপুর, বিকালে সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত। সুতরাং সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই বিএনপির রাজনীতি আবদ্ধ।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ চিকিৎসকবৃন্দ।