কাতারকে সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের বিরুদ্ধে আবারও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ এনে দেশটিকে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান ট্রাম্প।

একই দিন ওয়াশিংটনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে কাতারের ওপর থেকে অবরোধ শিথিল করার আহ্বান জানান। টিলারসনের মীমাংসা-চেষ্টার ওপর প্রেসিডেন্টের এ কঠোর অবস্থানের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে কাতার ঐতিহ্যগতভাবে খুব উঁচুপর্যায়ে সন্ত্রাসের তহবিল জুগিয়ে আসছে।’ দোহার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষকে অন্যদের হত্যা করতে শেখানো বন্ধ করুন…আমরা আপনাদের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় দেখতে চাই।’

সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাতারকে প্রতিবেশী দেশগুলো কয়েক দিন ধরে কার্যত একঘরে করে রেখেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন দৃশ্যত পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টায় শুক্রবার ওয়াশিংটনে বলেন, এই অবরোধ মানবিক সংকট ডেকে এনেছে। তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তহবিল জোগানো কার্যক্রম সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়ায় কাতারের আমিরের প্রশংসাও করেন। টিলারসন অবশ্য এ-ও বলেছেন, এ ব্যাপারে কাতারকে আরও অনেক কাজ করতে হবে।

টিলারসন বলেন, কাতারের ওপর এই অবরোধের মানবিক পরিণাম আছে। সেখানে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে, অনেক মানুষ পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না।

চলমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর প্রভাব পড়ছে বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জঙ্গিবাদে সহায়তার অভিযোগ তুলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিসর ও বাহরাইন গত সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। তবে কাতার কট্টর ইসলামপন্থী কার্যক্রম সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার কাতারি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উপসাগরীয় ঐক্য বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

উপসাগরীয় আরব অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটির অবস্থান কাতারেই। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।