‘‌‌গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ষড়যন্ত্রের অংশ’

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে এবং তার মর্যাদাহানি করার জন্যই গুলশান কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটা উদ্দেশ্যমূলক এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি শেষে কার্যালয় ছাড়ার পর ৮৬ নম্বর সড়কে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রিজভী একথা বলেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে চায় ক্ষমতাসীন সরকার। এ কারণে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের সভ্যতার চরম পরিপন্থী।

তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু না জানিয়ে তালা ভেঙে পুলিশ কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে। ভেতরে কয়েকজন কর্মচারীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। একটি অজ্ঞাতনামা জিডির ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ হানা দেওয়া হয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, আমাদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল তৌহিদ ও আমার উপস্থিতিতে পুলিশ বলে গেছে তারা কিছু পায়নি। সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেগুলো খুঁজতে তারা এসেছিল। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি। পুলিশ শূন্য হাতে ফিরে গেছে।

নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে জানিয়ে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য যখন সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে চায় সরকার।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সকাল ৮টার দিকে তারা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তল্লাশি করে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় ছেড়ে চলে যায় গুলশান থানার পুলিশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার ও শায়রুল কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,  তল্লাশির খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে যান রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

এ ব্যাপারে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আদালতের নির্দেশ রয়েছে ওই কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখার। আদালতের নির্দেশেই তল্লাশি চালানো হয়েছে।