পরিবহন মালিকরা প্রভাবশালী: কাদের

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট  :  পরিবহন মালিকরা কোনো সামান্য লোক নয়, তারা অনেক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে নামলেই তারা গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে। তবে এ ভোগান্তি দূর করতে আমি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  জানা গেছে, ১৯৯১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী নাফিয়া গাজী। পরে হাইকোর্ট নিহত ছাত্রীর পিতা-মাতাকে চার কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই ক্ষতিপূরণের অংশ হিসেবে আজ ওই ছাত্রীর বাবার হাতে ক্ষতিপূরণের প্রথম চেক হস্তান্তর করেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী আরো জানান, চেয়ারম্যান মালিকপক্ষের সঙ্গে আগামীকালকেই বৈঠকে বসবেন। মালিকদের সঙ্গে বসে তিনি পুরো বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিকরা অনেক প্রভাবশালী। গাড়ি না নামালে দেশের বাস্তবতা অনুযায়ী চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে কী কিছু করা যায়? তারা সংখ্যায় অনেক। বাস্তবতার নিরিখে চাইলেই ব্যবস্থা নেয়া যায় না। চালক-মালিকরা যখন অন্যায় করে তখন সরকার ব্যবস্থা নিলে এর ফলে তারা রাস্তায় গাড়ি নামায় না। তখন জনদুর্ভোগের পুরো দায়ভারটা মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপে।
সরকার কি গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফলতা-ব্যর্থতা দুটোই তো আছে। নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে আপনারা (সাংবাদিকরা) লেখেন, ‘সরকার নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থ।’ আবার নৈরাজ্য ঠেকাতে রুট পারমিট বাতিল করতে গেলে মালিকরা একজোট হয়ে বাস নামায় না। তখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তখন আপনারা এর জন্য সরকারকে দোষারোপ করে লেখেন।

পরিবহন কোম্পানি বলছে তাদের এক তৃতীয়াংশ গাড়ি রাস্তায় নামেনি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কাদের বলেন, রাশ আওয়ারে যে পরিমাণ গাড়ি থাকে সে তুলনায় কম, তবে গাড়ি আছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি একটু সক্রিয় বিবেচনায় নিয়ে সমাধন করা উচিত। পত্রপত্রিকার লেখালেখিও আমার চোখে পড়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য বুধবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সেখানে ডাকা হবে।
সড়কে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে ‘সিটিং সার্ভিসকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা’ হচ্ছে- যাত্রীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের কিছু আছে কি না সেটা রিভিউ করলে বলা যাবে, সেখানে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হবে।