সাকা একাত্তরে দেশেই ছিলেন- প্রমাণে আদালতে নতুন নথি রাষ্ট্রপক্ষের

SHARE

salauddinমৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে আদালতে নতুন একটি নথি জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। নথিতে তার অপরাধের প্রমাণ হিসেবে তৎকালীন ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকার একটি কপি জমা দেওয়া হয়।

বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ নথি জমা দেন রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্কে বলেছিলেন, একাত্তর সালে সাকা চৌধুরী দেশে ছিলেন না। তিনি সে সময় পড়াশোনার জন্য পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, তিনি ওই সময় দেশে অবস্থান করছিলেন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন, যা সে সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই সময়ের পত্রিকা সংগ্রহ করেই আজ তা জমা দিয়েছি।”

এর আগে মঙ্গলবার রায়ের শুনানি শেষে মাহবুবে আলম এই নথি আদালতের কাছে জমা দিতে যান। কিন্তু আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় গতকাল তা জমা দিতে পারেননি তিনি। পরে নথিটি আদালতে জমা দিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করলে তা আজ বুধবার কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়।

গতকাল সাকা চৌধুরীর আপিলের শুনানি শেষে আগামী ২৯ জুলাই রায় দেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এ বেঞ্চই দিন নির্ধারণ করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।

গত ৩০ মে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের শুনানি শুরু হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

হরতালের আগের রাতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এর পর ১৯ ডিসেম্বর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।