এলিয়টের হাফ সেঞ্চুরি, একশো পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড

SHARE

elliotইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। একশো পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেছেন রস টেলর ও গ্র্যান্ট এলিয়ট। সেমিফাইনালে কিউইদের জয়ের নায়ক এলিয়ট তুলে নিয়েছেন নবম হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২১ রান।

বিশ্বকাপ ফাইনালের পঞ্চম বলেই বোল্ড হয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। দুই বলে আক্রমণাত্মক ব্যাট চালিয়ে পরাস্ত হয়েছেন ম্যাককালাম (০)। দলীয় ১ রানে তৃতীয় বলে স্টার্কের ফুল লেন্থ ও সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি। গাপটিল বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েলের নীরিহ স্পিনে। তিনি ১৫ রান করেন। জনসনের বলে কট এন্ড বোল্ড হন কিউইদের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ কেন উইলিয়ামসন (১২)।

৩৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসা কিউইদের ত্রাতা হয়েছে রস টেলর ও এলিয়টের জুটি। ধীরে ধীরে তারা ইনিংস মেরামতে যোগ দেন। তাদের যুগলবন্দিও এগুচ্ছে ভালো গতিতে। অভিজ্ঞ রস টেলর ব্যাট হাতে স্বাবলীল হতে না পারলেও এলিয়ট খেলছেন সহজাত ব্যাটিং।

মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিং করছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে তাই টসভাগ্য কথা বলেনি মাইকেল ক্লার্কের হয়ে। ফাইনালটা তাই স্বাগতিকরা শুরু করে বোলিং দিয়ে। দুদলের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিশ্বকাপ ফাইনালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ছয়বার ফাইনাল খেলে চারবারই ট্রফি বগলদাবা করেছে দলটি। সপ্তমবার ফাইনালেও দিন শেষে মেলবোর্নে হলুদের জোয়ার দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়ানরা।

অন্যদিকে এক বুক আশা, সাহস ও মনোবল নিয়ে ফাইনালের মঞ্চে নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার ফাইনাল বলে অনভিজ্ঞ বলা চলে কিউইদের। কিন্তু প্রথমবারেই বাজিমাত করতে চায় কিউইরা। আক্রমণই ব্ল্যাক ক্যাপসদের মূল অস্ত্র।