রিয়ালের পর এবার বার্সেলোনার হোঁচট

SHARE

আগের দিন জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর গতরাতে রায়ো ভায়েকানোর কাছে হেরে হোঁচট খেয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী বার্সেলোনা। যদিও এ হারে শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে তেমন বড় ক্ষতি হয়নি। লিগে চলতি মৌসুমে এটা বার্সেলোনা তৃতীয় হার।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভায়েকানোর মাঠ এস্তাদিও দ্য ভেলেকাসে আতিথ্য নেয় বার্সেলোনা। দুই স্প্যানিশ তারকার ঝলকে ম্যাচটিতে বার্সা হেরেছে ২-১ গোলে। ভায়েকানোর হয়ে গোল দুটি করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলভারো গার্সিয়া ও লেফট ব্যাক ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া। বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি রবার্ট লেভানদোভস্কির।
লা লিগায় ভায়েকানোর বিপক্ষে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিই হারল কাতালানরা। অন্যটি গোলশূন্য ড্র, যেটি ছিল চলতি আসরে ক্যাম্প ন্যুয়ে দলটির প্রথম ম্যাচ। বার্সেলোনার বিপক্ষে নিজের প্রথম চার ম্যাচে অপরাজিত ভায়েকানোর কোচ আন্দোনি ইরাওলা, এই শতাব্দীতে যে কীর্তি নেই অন্য কোনো কোচের।
এবারের লিগে ৩১ ম্যাচে বার্সেলোনার তৃতীয় হার এটি। ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচে গোল ও জয়হীন থাকার পর গত রোববার লিগে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল জাভির দল। অথচ এই ম্যাচটা জিতলে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে যেতে পারত বার্সা, তাতে লিগের শিরোপাও অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত জাভির দলের। এখনো যে সেটা খুব একটা সংশয়ে পড়েছে, তা অবশ্য নয়।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই বিপদে পড়তে বসেছিল বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের একজনের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। দুই মিনিট পর আর পারেননি তিনি। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে সার্জিও ক্যামেওর পাস থেকে আলভারো গার্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ভায়েকানো। ৪২ মিনিটে লেভানদোভস্কি ভায়েকানোর জালে বল পাঠালেও সেটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতি থেকে ফিরে বার্সা ঘুরে দাঁড়াবে কি উল্টো ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভায়েকানো। মাঝমাঠের কাছে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের স্লাইডের পর বল পেয়ে যান ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া। এগিয়ে বক্সে ঢুকে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন তিনি।
ম্যাচ যখন বার্সেলোনার হাত থেকে প্রায় ফস্কে গেছে সেই সময়ে রবার্ট লেভানদোভস্কি ব্যবধান কমান। তবে ৮৩ মিনিটে তার গোলের পর সমতা ফেরানো গোলটা আর পায়নি বার্সা। এতে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।