শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় কলকাতাকে জেতালেন রিঙ্কু

SHARE

আইপিএলের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করেছিল কেকেআর। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে ব্যাঙ্গালুরুকে হারায় লিটনবিহীন দলটি। জয়ের ধারা বজায় রাখতে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে কলকাতা।

রোববার (৯ এপ্রিল) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইটান্সের অধিনায়ক রশিদ খান। ব্যাটিংয়ে নেমে বিজয় শঙ্করের ঝোড়ো ইনিংসে ২০৪ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রিঙ্কু সিংয়ের অবিশ্বাস্য ইনিংসে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য নীতিশ রানার দলের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। আর শেষ ৫ বলে ২৮ রান। এমন কঠিন সমীকরণে অবিশ্বাস্য মারকাটারি এক ইনিংস খেলেন রিঙ্কু সিং। যশ দয়ালের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৫ বলে ৫ ছক্কায় রেকর্ড গড়ে কলকাতাকে জিতিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। এতে করে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে কলকাতা।

২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপট বজায় রেখে খেলতে থাকে কেকেআর। একটা সময় মনেই হচ্ছিল, হেসে-খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে দলটি। তবে সেই আলোয় আঁধার নামিয়ে আনেন রশিদ খান। নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে তুলে নেন এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক।

১৭তম ওভারে ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারানো কলকাতার শেষ ৮ বলে দরকার ছিল ৩৯ রান। তবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটারদের পক্ষে এই সমীকরণ মেলানো অনেকটা কষ্টসাধ্যই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আইরিশ পেসার জশ লিটলের ওভারে ছক্কা ও চার মেরে সমীকরণ কমান এই ব্যাটার।

২০ ওভারে স্ট্রাইক পেয়েই রীতিমতো তাণ্ডব চালান রিঙ্কু। ওভারে দ্বিতীয় বলে ফুল টস পেয়ে লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকান রিঙ্কু। পরের দুই বলও ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ও লং অফ দিয়ে সীমানা পাড় করেন এই ব্যাটার। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা পঞ্চম বলেরও একই পরিণতি।

সমীকরণ এসে দাঁড়ায় শেষ বলে ৪ রান। এবার অফ স্ট্যাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারি করেন দয়াল। তবে তীরে এসে তরী ডুবাতে দেননি কলকাতার এই ব্যাটার। শেষ বলেও লং অন দিয়ে জয়সূচক ছক্কা হাঁকান তিনি। এর মধ্য দিয়ে পাঁচে নেমে ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে, টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রানে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় গুজরাট। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে বিজয় শঙ্কর ৬৩ এবং সাই সুদর্শন ৫৩ রানে ইনিংস খেলেন।

কেকেআরের হয়ে নারিন ৩টি এবং সুয়াস শর্মা একটি উইকেট নেন।