প্রোটিয়া বোলিং তোপে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা

SHARE

africa18কুমার সাঙ্গাকারার ক্যাচটা তালুবন্দি করেন ডেভিড মিলার। সাঙ্গাকারা প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটছেন। তখনই বিরাগভাজন হয়ে পড়লো যেন প্রকৃতি। সিডনিতে অঝোর ধারায় নেমে আসলো বৃষ্টি। দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের বুকটা নিশ্চয় কিছুটা কেঁপে উঠেছিল!

তবে প্রোটিয়াদের জন্য স্বস্তির যে, সেই বৃষ্টি তাদের জন্য প্রাণসংহারী রুপে আর্বিভূত হয়নি। মিনিট বিশেক পরই রোদ্রকজ্জল আবহাওয়া দেখা দেয়।  তবে বৃষ্টির আগে বড় টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞ দলকে শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো বল হাতে নাজেহাল করেছে প্রোটিয়ারা। বৃষ্টির পর মালিঙ্গার উইকেটটি নিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা গুটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিডনিতে বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ৩৭.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের করতে হবে ১৩৪ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারকে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কাইল অ্যাবোট ফিরিয়ে দেন কুশাল পেরেরাকে। ৩ রান করে ডি ককের হাতে ক্যাচ দেন কুশাল পেরেরা। পঞ্চম ওভারে স্টেইনের শিকার হন দিলশান। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নে ও কুমার সাঙ্গাকারা প্রতিরোধ গড়েন।

তারা ৬৫ রানের জুটি গড়েন। থিরিমান্নেকে কট এন্ড বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন ইমরান তাহির। তিনি ৪১ রান করেন। বড় ম্যাচের ব্যাটসম্যান খ্যাত মাহেলা জয়াবর্ধনেও ইমরান তাহিরের শিকার হন। ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে জয়াবর্ধনে ৪ রান করেন। এরপরও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ছিল লঙ্কানদের। অধিনায়ক ম্যাথুস ও সাঙ্গাকারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। ৩৩ রান যোগ করেন তারা দুজন। রানের চাপ বাড়তে থাকায় ম্যাথুস ধৈর্য্য হারান। ১৯ রান করে ডুমিনির শিকার হন তিনি দলীয় ১১৯ রানে।

তার বিদায়ের পরই আবারও মড়ক লাগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। ২ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুসের পর থিসেরা পেরেরা ইমরান তাহিরের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন। পরপর দুই বলে কুলাসেকেরা ও থারিন্ডু কুশালকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে ছিলেন ডুমিনি। এক প্রান্তে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয় চলছে। অপর প্রান্তে দর্শক হয়ে তা দেখছিলেন সাঙ্গাকারা। ইনিংসের শুরুতে চাপে পড়ায় যিনি খোলনলচে বদলে ফেলেছিলেন নিজের ব্যাটিং।

স্রোতের বিপরীতে বুক চিতিয়ে লড়েছেন সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক। কিন্তু দলীয় ১২৯ রানে তিনিও হার মানলেন বিরাট চাপের কাছে। মরনে মরকেলের বলটাকে সীমানা পার করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিলারের হাতে। ৯৬ বলে স্বভাববিরুদ্ধ ৪৫ রান করেন সাঙ্গাকারা। মালিঙ্গাকে ফিরিয়ে লঙ্কান ইনিংসের লেজটা মুড়ে দেন ইমরান তাহির।  প্রোটিয়াদের পক্ষে ইমরান তাহির ২৬ রানে ৪টি, ডুমিনি ২৯ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।