একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা মনে করে, বাঁশিতে ফু দিল আর দেশে স্বাধীন হয়ে গেল। এদের আসলে ভূগোল ও ইতিহাসের জ্ঞান আছে কি না, সন্দেহ আছে। একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে। এ বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল- কীভাবে দেশটা সাজাবেন, প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবেন, এ জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।
আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, একাত্তরে মার্কিন সরকার পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও তাদের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল। আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা পরে তাদের সম্মানিত করেছি। আমাদের সহযোগিতা করলে যেমন সম্মান জানাই, আবার আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার প্রতিবাদও করতে জানি।
বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাম দলগুলোর কর্মসূচি দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্ব বামরা কীভাবে মানল।
তিনি বলেন, রাজাকারের দোসর, খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও গ্রেড হামলার দণ্ডিত আসামি, এতিমের অর্থ আত্মসাতের দণ্ডিত আসামিদের সঙ্গে বামরা কীভাবে মিলে যায়?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এর সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। বাম, অতি বাম, তীব্র বাম, স্বল্প বাম, সব এক হয়ে গেল। যারা এত বড় বড় কথা বলেন, এত বড় তাত্ত্বিক, তারা ওদের সঙ্গে এক হয়ে যায় কীভাবে? ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডিতদের নেতৃত্ব কীভাবে মেনে নেয়! বিচিত্র সেলুকাস এদেশ!
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কখনই চায়নি এ দেশ স্বাধীন হোক। আর সেজন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যাতে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। ধারাবাহিকতায় বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। কখনো ভোট কারচুপি করে কখনও চক্রান্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীতে কিছু বেইমান-মোনাফেক ছিল, যারা আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করত। আমার মায়ের হাতে কত খাবার খেয়েছে, বাবা তাদের সন্তানের মত ভালোবাসতেন! সেই তারাই তাকে হত্যা করল। কিন্তু তারপর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এদেশকে কী দিয়েছে? পঁচাত্তরের পর এদেশের মানুষ শোষণের শিকার হয়েছে। ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এদেশের মানুষ কী পেয়েছে? শোষণ বঞ্চনা আর নিদারুণ কষ্ট। অথচ বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। একটা উন্নত রাষ্ট্রের ভিত তৈরি করছিলেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত ভাষণ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদও এ সময় বক্তব্য দেন।