ভারতকে সাবধানে বাড়ি ফিরতে বলল পাকিস্তান

SHARE

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শেষ হয়ে গেল ভারতের মিশন। ম্যাচটিতে টিম ইন্ডিয়াকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় ইংলিশরা। অ্যাডিলেড ওভালে আয়োজিত এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে ভারত জয়ের জন্য ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল। কিন্তু জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ইংল্যান্ড কোনও উইকেট না হারিয়েই এই রান তুলে নেয়। এই দুই ব্যাটার মিলে ১৬ ওভারেই ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেয়। অ্যালেক্স হেলস ৮৬ রানে এবং জস বাটলার ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন।
আর ভারত এই ম্যাচে হারতে না হারতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমর্থকেরা আনন্দে আত্মহারা। চলতি বিশ্বকাপেই এমন একটা সময় এসেছিল যখন পাকিস্তান ক্রিকেট দল কার্যত বিদায়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। প্রথম দুটো ম্যাচে ভারত এবং জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল। এরপর অনেকটাই ভাগ্যের জোরে সেমিফাইনালের পথে টিকে যায় বাবররা।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট একেবারে পাকা করে ফেলে পাকিস্তান। এরপর প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে বুধবার নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারায় বাবরের দল। আর সেইসঙ্গে ফাইনালের টিকিটও কনফার্ম হয়ে যায়।
এরপর সকলেই আশা করেছিলেন যে ভারত এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে হয়ত বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর সার্থক হল না। ফাইনালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে।
এদিকে টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ডের কাছে হারার পরই পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকেরা ভারতকে নিয়ে রীতিমতো ট্রোল করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে একটি মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে রোহিত শর্মার একটি কার্টুন ছবি সিডনি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‌‘বিদায় ভারত। সাবধানে বাড়ি ফিরো।’ পাকিস্তান ক্রিকেট নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি পোস্ট করা হয়েছে। টুইটটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভারতের এই পরাজয়ের পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার টিম ইন্ডিয়ার বেশ সমালোচনা করেন। টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, ‘ভারতের এই পরাজয় সত্যিই খুব বিস্ময়কর। এই ম্যাচটা একেবারে জঘন্য খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এমন পারফরম্যান্স করার পর ভারতের ফাইনালে ওঠার কোনও অধিকারই ছিল না। ভারতের বোলিং ব্যর্থতা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে যেখানে যথেষ্ট গতি রয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতের হাতে কোনও ফাস্ট বোলার ছিল না। চাহাল ভারতের একজন ঠিকঠাক স্পিনার, ওকে কেন খেলানো হল না সেটাও বুঝতে পারলাম না।’