নোয়াখালীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

SHARE

noyakhaliনোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ২০দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে জামায়াত নেতা গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেনবাগ বাজারের পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন- সেনবাগ পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম সোহেল, জামায়াত কর্মী আব্দুল ওহাব।

আহতরা হচ্ছেন- পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজসহ আটজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজের নেতৃত্বে সেনবাগ বাজারের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অবরোধ-হরতালের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

মিছিলটি সেনবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

অপরদিকে, সেনবাগ ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের বিরোধী একটি মিছিল বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এ সময় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ নয়জন আহত হন।

পরে ২০দলের নেতাকর্মীরা বাজারে তিন-চারটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে তারা।

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ অবরোধবিরোধী মিছিল বের করলে ২০দলের মিছিলের মুখোমুখি হয়ে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

তবে বিএনপি নেতা সবুজের উপর হামলার বিষয়টি তিনি জানেন না।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, ২০দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০-১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।