আগস্টে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৮১ কোটি ডলার

SHARE

চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১ কোটি (১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। টাকার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, যা গত জুলাইয়ের চেয়ে ৫২২ কোটি টাকা কম। জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার (এক দশমিক ৮৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা।

আজ বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। ফলে করোনা মহামারির মাঝেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ ছিল। তাই ২ আগস্ট থেকে রেমিট্যান্সের হিসাব করা হয়েছে। অবশ্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকেই রেমিট্যান্স কমে গেছে।

জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার (১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম এবং আগের বছরের (২০২০ সালের জুলাই) একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। গত বছর জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এদিকে হঠাৎ প্রবাসী আয় কমে যাওয়াকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অনেক দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে প্রবাসীদের আয়ও কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয় ও আগস্ট— এই দুই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৪৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

গত ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ একজন প্রবাসী বাংলাদেশে ১০০ টাকা পাঠালে তার সঙ্গে আরও দুই টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি আরও এক শতাংশ দেওয়ার অফার দেওয়া হয়। এসব কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপর ডাচ–বাংলা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। এসব অর্থের বেশিরভাগই এসেছে ১০টি দেশ থেকে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।