জুভেন্টাসের জন্য আমি হৃদয় উজাড় করে দিয়েছি: রোনালদো

SHARE

সপ্তাহ দেড়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার দলবদলকে ঘিরে একের পর এক সংবাদ বের হওয়ায় রীতিমতো বিরক্তিই উগড়ে দিয়েছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী।

শেষ পর্যন্ত ঠিকই দল ছাড়লেন রোনালদো। দীর্ঘ ১২ বছর পর ফিরলেন নিজের পুরোনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। শুক্রবার রাতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত কয়েছেন ইংলিশ ক্লাবটি। এর আগেই অবশ্য ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে নিজের সতীর্থদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফেলেছিলেন রোনালদো।

শুক্রবার জুভেন্টাসের অনুশীলনে গেলেও, মাঠে নামেননি সিআরসেভেন। বরং দলের খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজম্যান্টকে বিদায় জানিয়েই ফিরে গেছেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই খবর এসেছে, জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যান ইউও।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুভেন্টাসকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিক বার্তাও দিয়েছেন রোনালদো। ক্লাবটির হয়ে তিন বছরে ১৩৪ ম্যাচ খেলে ১০১ গোল করেছেন তিনি। জিতেছেন দুইটি লিগ শিরোপা। সবশেষ আসরে লিগ জিততে না পারায় খানিক অপূর্ণতা নিয়েই ক্লাব ছাড়তে হচ্ছে তাকে।

তবে সবমিলিয়ে জুভেন্টাসে কাটানো তিন মৌসুমে নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন রোনালদো। ক্লাবটিতে সবার সঙ্গে মিলে লিখেছেন দারুণ এক গল্প। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তুরিন শহরের প্রতি ভালোবাসা থাকবে পর্তুগিজ সুপারস্টারের।

ফেসবুকে নিজের পেজে রোনালদো লিখেছেন, ‘আজকে আমি একটা অসাধারণ ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছি। ইতালির সবচেয়ে বড় এবং নিশ্চিতভাবেই ইউরোপের অন্যতম বড় ক্লাব থেকে বিদায় নিলাম। জুভেন্টাসের জন্য আমি আমার হৃদয় উজাড় করে দিয়েছি এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তুরিন শহরটাকে ভালোবাসবো।’

‘জুভেন্টাস সমর্থকরা সবসময় আমাকে সম্মান করেছে এবং তাদের সম্মানের জবাবে আমি প্রতি ম্যাচ, মৌসুম ও প্রতিযোগিতায় তাদের জন্য লড়েছি। পরিশেষে পেছন ফিরে তাকিয়ে অনুধাবন করতে পারি যে, আমরা অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি, যা কিছু চেয়েছিলাম সবটা নয়; তবে সবাই মিলে দারুণ একটি গল্প লিখেছি।’

‘সবসময় আমি আপনাদের একজন হয়ে থাকব। এই ক্লাব এখন আমার ইতিহাসের একটা অধ্যায়, যেমনটা আমি নিজেকে এই দলের একজন মনে করি। ইতালি, জুভেন্টাস, জুভেন্টাস- সবাই আমার হৃদয়ে থাকবে।’