নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত প্রসারে গবেষণা ও উন্নয়নে সমন্বিত পদ্ধতি : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

SHARE

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত প্রসারে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একক সমন্বিত পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জমি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপন মূল্য, সাশ্রয়ী মূল্যের স্টোরেজ সিস্টেম ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা অন্যতম প্রতিবন্ধক। এত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েও বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭৬৬.৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে আন্তর্জাতিক সৌর জোট- এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সভায় (3rd Meeting of the Regional Committee for the Asia & the Pacific region of the International Solar Allia) বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার জন্য সোলার হোম সিস্টেম এবং সোলার মিনি গ্রিড প্রোগ্রাম এর মতো কিছু উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ১২ %কে বিদ্যুৎ প্রদান করা হচ্ছে। জমির স্বল্পতার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বেশ দুষ্কর। এ কারণেই ভাসমান সৌর এবং ছাদ সৌর এর মত সমাধানগুলির দিকে যেতে হচ্ছে। ছাদে সৌরবিদ্যুতকে উৎসাহিত করার জন্য নেট মিটারিং নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) একটি কর্মমুখী, সদস্য চালিত, বর্ধিত সহযোগী প্ল্যাটফর্ম যা সৌর শক্তি প্রযুক্তি স্থাপন, শক্তির নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শক্তির অ্যাক্সেস উন্নত করতে সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক সৌর জোট- এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সভায় পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, ‘ওয়ান সান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান গ্রিড’ উদ্যোগের অগ্রগতি, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর বিনিয়োগে ০১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের জন্য রোডম্যাপ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ)-এর মহাপরিচালক অজয় মাথুরের (অলধু গধঃযঁৎ )সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি ও নিঃসরণ হ্রাস মন্ত্রী অ্যাঙ্গাস টেলর এমপি (অহমঁং ঞধুষড়ৎ গচ), কম্বোডিয়া কিংডমের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী সুই সেম (ঝুঁ ঝবস), ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী আর.কে. সিং (. জ.ক. ঝরহময,), মালদ্বীপের পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী ডঃ হুসাইন রাশেদ হাসান (উৎ. ঐঁংংধরহ জধংযববফ ঐধংংধহ) ও ওমানের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালেম বিন আল-তোবি (Mohammed Bin Salem bin said Al-Tobi) সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।