গ্রামে ব্যাংকিং সেবা বাড়ানোর তাগিদ পরিকল্পনামন্ত্রীর

SHARE

রেমিট্যান্স ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে গ্রামে প্রচুর অর্থের প্রবাহ আছে জানিয়ে ব্যাংকগুলোকে সেখানে সেবা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে ইসলামী ব্যাংকের শরীয়া ভিত্তিক ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও প্রিপেইড কার্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি ব্যাংকগুলোকে গ্রামমুখী হওয়ার অনুরোধ করেন।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। গ্রামের মানুষ ডিজিটাল ব্যাংকিং, কার্ড ব্যাংকিং ব্যবহার করছে, আমি নিজ চোখে দেখেছি। অশিক্ষিত মানুষ নিজের নাম লিখতে পারে না কিন্তু সে এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারে। আমাদের এই দিকটা মাথায় রাখতে হবে। গ্রামে প্রচুর অর্থ ছড়িয়ে আছে।রেমিট্যান্সের কারণে অর্থের প্রবাহ বাড়ছে। আপনাদের অনুরোধ করবো গ্রামে যে হিউজ ডিমান্ডটা আছে সেটা পূরণে অ্যাজেন্ট ব্যাংকিংও অন্যান্য সেবা নিয়ে যেতে। আপনাদের সরকার সাপোর্ট দিবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো মেশিন নয় এটা একটা আইডিয়া। সব কাজ যেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারি, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছেন। অনেক বাধা স্বত্ত্বেও আমরা মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছি। দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান আছে। এটা সবাই জানে। এই অঞ্চলের অনেকের সঙ্গেই আমরা প্রতিযোগিতা করছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো বাড়ি-ঘর এখন বিদ্যুৎ ছাড়া নেই। এই অঞ্চলে আমরাই প্রথম শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছি। এটা আপনাদের বিশাল সহায়তা দেবে। এখন আর গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, হাজার হাজার সড়ক সেতু নির্মাণ করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, দেশের একটা বড় অংশ সুদ অ্যাভয়েড করে ব্যাংকিং সেবা নিতে চায়। তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সন থেকে শরীয়া ভিত্তিক সেবা দিচ্ছে। তারা এতোদিন ডিজিটাল ব্যাংকিং, ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড এসব সুবিধা ব্যবহারে পিছিয়ে ছিল। এখন ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে এসেছে। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টার কার্ডের এই প্রয়াসের ফলে পেমেন্ট গেটওয়ে নেটওয়ার্ক ও ক্রস বর্ডার ট্রান্সেকশন আরও বিস্তৃত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল প্রমুখ।