বরিশালের বিষয়টি একান্তই স্থানীয় : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিকে একটি ‘স্থানীয় ঘটনা’ ও ‘বিচ্ছিন্ন বিষয়’ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বরিশালের বিষয়টি একান্তই স্থানীয়। সেখানে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল। তার আগে আসলে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

আজ রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের মেয়রকে আসামি করা হয়েছে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি স্থানীয় ঘটনা, বিচ্ছিন্ন বিষয়। মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। এর আগে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি প্রথম নয়, বহু মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়। অভিযোগ দায়ের হতে পারে, অভিযোগ সঠিক কি না সেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠনের বিবৃতির ভাষাসহ সার্বিকভাবে কোনো সংকট আছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কোনো সংকট নেই। তবে অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিটা চটজলদি হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে সব সময় এ ধরনের কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন। তারপর দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েই সরকার গঠন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়ে বিরোধী দলের আসনেও বসতে পারেনি। আসলে পায়ের তলার মাটি বিএনপির সরে গেছে। তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিধায় খালি কলসি বেশি বাজে। ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথাও সে রকম। কথা বলার মধ্যেই তাদের রাজনীতিটা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা কখনও বিএনপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেইনি। বিএনপির মধ্যে অনেক দুষ্কৃতিকারী আছে। যারা পেট্রল বোমা মেরেছিল তারা আছে। বিএনপির কারো ব্যক্তিগত অপরাধের কারণে, নৈতিক স্খলনের কারণে বা ফৌজদারি অপরাধের কারণে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটিকে বিএনপি রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি কখনই সমীচীন নয়।