আজ থেকে সড়কে শতভাগ গণপরিবহন

SHARE

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে চলাচল শুরু হয়েছে এসব পরিবহন।

এর আগে বিধিনিষেধ শেষে ১১ আগস্ট থেকে মোটামুটি সবকিছু খুলে দেয় সরকার। তখন সড়কে অর্ধেক গণপরিবহন চলার নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু তা কেউ মানেনি। আর সরকারেরও ছিল না এ বিষয়ে কোনো তদারকি। তাই ১১ আগস্ট থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে ছিল দুঃসহ যানজটের ভোগান্তি। তবে এবার শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি মিলল।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পল্টনসহ বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে।

এর আগে ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

পরে ১৯ আগস্ট থেকে বিনোদন কেন্দ্র এবং গণপরিবহন পুরোপুরি খুলে দিয়ে ১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।

এদিকে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন পুরোদমে শুরু করতে বৃহস্পতিবার থেকে রেলবহরে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৪ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চালু হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়।

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তখন ২৩টি শর্ত দেয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এনে বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ১০ আগস্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।