কাবুল বিমানবন্দর পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল তুরস্ক

SHARE

আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বিদেশি সব সেনা আফগানিস্তান থেকে চলে যাবে। এরই মধ্যে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তালেবান।

গত পাঁচ দিনে ৯ টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দলটি। তালেবানরা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাদাখসান প্রদেশের রাজধানী ফাইজাবাদ দখলে নিয়েছে।

জানা গেছে, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর রক্ষার দায়িত্ব তুরস্কে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন।

কিন্তু আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তুরস্ক কাবুল বিমান বন্দর রক্ষার দায়িত্ব নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কাবুল বিমানবন্দর পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন তারা। তালেবান দ্রুত গতিতে অগ্রসর হওয়ায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।

অন্যদিকে কাবুল বিমানবন্দর পাহারা দেওয়ার বিষয়ে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছে তালেবান। যদিও সেদিকে মাথা ঘামাচ্ছে না তুরস্ক।

তুরস্কের সাংবাদিক ইলহান উজগেল মনে করেন, কাবুল বিমানবন্দর মিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে নিয়ে আসার চাবিকাঠি হিসেবে দেখছে তুরস্ক।

তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাবুলে উপস্থিতির মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রয়াস চালাচ্ছে তুরস্ক সরকার। বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য ভালো কিছু করে দেখাতে চায় এরদোয়ান প্রশাসন।

তিনি আরো বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে আঙ্কারা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে- মিত্র হিসেবে তুরস্ক অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ; চাইলেই যে দেশকে উপেক্ষা করা যায় না।
সূত্র: রয়টার্স।