বিশ্বকাপ জেতা মাঠে স্বর্ণ ধরে রাখার মিশনে নামছে ব্রাজিল

SHARE

দানি আলভাজের শো কেসে সাজানো হরেক রকম পুরস্কার। পেশাদার ফুটবলে তিনি ৪২ বার শিরোপার স্বাদ নিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় অলিম্পিক স্বর্ণ জিতলে ক্যারিয়ারটা পূর্ণতা পাবে অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিল অধিনায়কের।

পাঁচ বছর আগে নেইমারের নেতৃত্বে একটা অপূর্ণতা দূর হয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলে। প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ তারা জিতেছিল ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে। বহু প্রতিক্ষার পর ধরা দেয়া সেই স্বর্ণ নিজেদের কাছে রেখে দেয়ার পাহাড়সম চাপ এখন আলভেজের নেতৃত্বাধীন দলের কাঁধে।

টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ স্পেন। ২০১৪ বিশ্বকাপ আর ২০১৬ অলিম্পিক ফুটবলের মতো এবারও ফাইনাল লড়াইয়ে লাতিন বনাম ইউরোপ।

ব্রাজিল কি পারবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে লাতিনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে? নাকি ইউরোপের প্রতিনিধি হিসেবে এশিয়া থেকে অলিম্পিকের স্বর্ণ নিয়ে যাবে স্পেন। সন্ধ্যায় মিলবে এ প্রশ্নের উত্তর। স্বর্ণের লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়।

স্পেনই ইউরোপের সর্বশেষ দেশ যারা অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণ জিতেছে। ১৯৯২ সালে নিজেদের শহর বার্সেলোনায় হওয়া অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে স্প্যানিশরা হারিয়েছিল পোল্যান্ডকে।

জাপানের যে স্টেডিয়ামে স্বর্ণ ধরে রাখার লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল, সেই স্টেডিয়ামেই ১৯ বছর আগে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন রোনালদো নাজারিওরা।

তাই জাপানের ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামটিকে তো পয়ামন্তই বলতে হবে ব্রাজিলের জন্য। এখানেই যে তারা জিতেছে নিজেদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ।

কাফু, রবার্তো কার্লোস, রোনালদো, রোনালদিনহো আর রিভালদোরা যে স্টেডিয়ামে উল্লাস করেছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি পুনরুদ্ধারের পর, সেই স্টেডিয়ামে কি দানি আলভেজরা পারবেন অলিম্পিকের স্বর্ণ ধরে রাখার বিজয় উৎসব করতে?

টোকিও অলিম্পিকের ভরা যৌবন শেষ, এখন পড়ন্তু বিকেলে। এই তো আগামকীলই (রোববার) পর্দা নামবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরের। শেষ দুই দিনের অন্যতম সেরা আকর্ষণ তো ফুটবল।

কারা ফেবারিট বলা মুশকিল। চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক টোকিও অলিম্পিক ফুটবলে দুই দলের পারফরম্যান্সে। দুই ম্যাচ জিতে এবং এক ম্যাচ ড্র করে ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিল। কোয়ার্টার ফাইনালে মিশরকে এবং সেমিফাইনালে মেক্সিকোকে হারিয়ে ফাইনালমঞ্চে শিরোপাধারীরা।

স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। একটি জয় ও দুটি ড্র ছিল তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে আইভরি কোস্ট এবং সেমিফাইনালে স্বাগতিক জাপানকে হারিয়ে স্বর্ণ উদ্ধারের ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি তারা।