ব্ল্যাকমেইলিংয়ে জড়িত ৩০-৩৫ নারী মডেল শনাক্ত

SHARE

কথিত মডেল পিয়াসার সঙ্গে বিদেশে পলাতক একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসীর যোগাযোগ থাকার বিষয়ে খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এছাড়া, মাদক ব্যবসার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। পুলিশ জানায়, রাজধানীতে বিভিন্ন পার্টিতে আগত অতিথিদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার সঙ্গে জড়িত ৩০-৩৫ জন নারী মডেলকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষক ও অতিথিদের তালিকা তৈরি করে অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।

পাঁচদিন আগে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েন কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ। মাদকের মামলায় দু’জনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পেয়ে ব্ল্যাকমেইলিং, আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশন, মাদক ব্যবসা ও অর্থ পাচার নিয়ে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্যও।

বিদেশে পলাতক দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও শাহাদাতের সঙ্গে পিয়াসার যোগাযোগ আছে। তাদের হয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের ঘায়েলে কথিত এই মডেলের ভূমিকা অনুসন্ধান করে দেখছেন গোয়েন্দারা। উজিসহ একাধিক ব্র্যান্ডের পিস্তল কীভাবে কিনেছেন পিয়াসা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মাদক কারা কারা সেবন করে বা কে কে এর সাথে জড়িত তাদের সম্পর্কে আমরা তথ্য পেয়েছি, সকল বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।’

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে- গুলশান, বনানী, উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে পার্টির আড়ালে অতিথিদের অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ে জড়িত ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ জন কথিত নারী মডেলের নাম পাওয়া গেছে।

যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘এই গুলশান, বনানীতে কতগুলি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে এবং ব্ল্যাকমেইলিং চক্র রয়েছে সেগুলো আমরা বের করার চেষ্টা করছি। কারা এসবে পৃষ্টপোষকতা করছে তাদেরকেও আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

পিয়াসা ও মৌয়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আরও অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ।