অজিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দাপুটে জয় টাইগারদের

SHARE

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৬৭ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সেখান থেকে স্বাগতিকদের টেনে তোলেন আফিফ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহান।

বাংলাদেশকে শুধু টেনেই ‍তোলেননি সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে অজিদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন তাঁরা দুজন। আফিফের অপরাজিত ৩৭ ও সোহনের অপরাজিত ২২ রানের সুবাদে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটে জয় পাওয়ার দিনে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

ঢাকার মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য ১২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মিচেল স্টার্কের ফুল অ্যান্ড স্ট্রেইট বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন সৌম্য সরকার।

প্রথম ম্যাচে ২ রান করলেও এদিন শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সেরার পুরস্কার জেতা বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে ৩০ রান করা মোহাম্মদ নাইমও এদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জস হ্যাজেলউডের লেন্থে বলে বোল্ড হয়েছেন ১৩ বলে ৯ রান করা নাইম।

চারে নামা শেখ মেহেদি হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ২১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শুরুর বিপর্যয়ে সামাল দেয়ার দেন সাকিব আল হাসান। মিচেল স্টার্কের বলে টানা তিনটি চার মেরে দারুণ শুরু করেন সাকিব। তাঁদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৭ রান।

অ্যান্ড্রু টাইয়ের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে ১৭ বলে ২৬ রান করা সাকিব ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। মিাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এদিন সাজঘরে ফিরেছেন থিতু হওয়ার আগেই। অ্যাস্টন অ্যাগারের আউট সাইড অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তাঁর বিদায়ের একটু পরই অ্যাডাম জাম্পার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরের পথে হাঁটেন মেহেদি। এক ছক্কায় ২৪ বলে ২৩ রান করেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। যদিও এই ইনিংসটি খেলতে ৪ বার জীবন পেয়েছেন তিনি।

৬৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন আফিফ এবং সোহান। তাঁদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৬ রান। যেখানে আফিফের অবদান ৩০ এবং সোহানের ২২ রান। অজিদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, হ্যাজেলউড, অ্যাগার, জাম্পা ও টাই।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান এসেছে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ময়সেস হেনরিকস করেছেন ৩০ রান। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি ও শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন দুটি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ১২১/৭ (২০ ওভার) (মার্শ ৪৫, ময়সেস ৩০, মুস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭)

বাংলাদেশ: ১২৩/৫ (ওভার ১৮.৪) (আফিফ ৩৭*, সাকিব ২৬, মেহেদি ২৩, সোহান ২২*, অ্যাগার ১/১৭)