শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি

SHARE

image_79097_0বিভিন্ন অভিযোগ ও ত্রুটির কারণে বর্তমানে প্রায় ৩০টি গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব কারখানার শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ। অন্যথায় শ্রমিকরা কঠিন আন্দোলনে যাবে বলেও জানায় সংগঠনটি।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংঠনের নেতারা এই দাবি জানান।

সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, মিরপুরে আটটি গার্মন্টস বন্ধ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে টিউনিক ফ্যাশন লি. ও ন্যাচারাল উল ওয়্যার লিমিটেড এই দু’টি গার্মন্টসের প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ পায়। অথচ মালিক পক্ষ শ্রমিকদেরকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিকরা যে কারখানায় কাজ করতেন সে কারখানার মালিক ও ক্রেতারা অধিক মুনাফা নিয়েছেন। শ্রমিকদের কোনো সুযোগ সুবিধা না দিয়ে তাদের ঢালাওভাবে কর্মচ্যুত করেছে।

এ সময় বিজিএমইএ’র সমালোচনা করে তিনি বলেন, কারখানার মালিক পক্ষ ২৭ এপ্রিল শ্রমিকদের কারখানায় যোগদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানা গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতাশ হন। তারা সবাই বেকার হয়ে পড়েন। কিন্তু এ সময় সেখানে মালিকপক্ষ, বিজিএমইএ এর কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।

তিনি গার্মন্টস মালিকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, সার্ভিস ও বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ না দিলে এবং চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পূনরায় কাজে যোগদানের সুযোগ না দিলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

সংগঠনের উদ্দ্যেগে মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল প্রেস ক্লাব হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, আবুল হোসাইন, রোকসানা আক্তার, সাইদা আক্তারসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রমূখ।