মার্কিন সিনেটরের বক্তব্যে আমরা হতাশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

SHARE

image_78910_0বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যে মুহূর্তে টিকফা নিয়ে আলোচনা করবো, সে সময় মার্কিন সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজের বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি।

টিকফা চুক্তির পর তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রথম বৈঠকের একদিন আগে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইএসটিআর) দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মাইকেল ডেলনির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তোফায়েল।

আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “মার্কিন সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ বাংলাদেশে না এসে মন্তব্য করেছেন।”

মন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার বাজারে জিএসপি এবং ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা পেলে টিকফা চুক্তি স্বার্থক হবে। টিকফা বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “টিকফা চুক্তি হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে সোমবার প্রথম বৈঠক শুরু হবে। বৈঠকেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা চাওয়া হবে।”

তিনি জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি সম্প্রসারণের জন্য ২০০১ সালে টিকফা নিয়ে আলোচনা শুরুর পর ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা চুক্তি সই হয়। এ বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আফ্রিকান অনেকে দেশে ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশে তা না থাকার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, টিকফার একটি টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে আগামীকাল আমাদের টেকনিক্যাল টিমের আলোচনা শুরু হবে। বৈঠকে জিএসপি ছাড়াও ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা চাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে।

আমাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বালি প্যাকেজ অনুসারে আমাদের এখন ডিউটি ফ্রি দেয়ার কথা। হংকং মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৯৭ শতাংশ পণ্যে ডিউটি ফ্রি হবে। দুঃখজনক হলো আমেরিকা আমাদের তিন শতাংশের মধ্যে নিয়ে গেছে। ডাব্লিউটিও’র সিদ্ধান্ত মতে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুবিদা দেয়া হবে।

রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার কম্পালায়েন্সের ব্যাপারে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর কারণে পোশাক রফতানিকারকরা অনেক যত্নবান। পৃথিবীর অনেক দেশে দুর্ঘটনা ঘটে। আমেরিকার টেক্সাসেও সারকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালে চীনে শিল্পদুর্ঘটনায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।