আলমারিতে বৌকে লুকিয়ে বিশ্বকাপ খেলেন সাকলাইন

SHARE

saclineধরুন বিরাট কোহলির আলমারি থেকে আবিষ্কৃত হলেন আনুশকা। কিংবা ধোনির ঘরের আলমারি থেকে বেরিয়ে এলেন সাক্ষী! গল্পটা একদম সেই রকম! আনুশকা শর্মাদের উপস্থিতি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিদের মনঃসংযোগের পক্ষে উপকারী না ক্ষতিকর, তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ দিন যে গল্পটা শুনিয়েছেন সাকলাইন মুশতাক।

প্রাক্তন পাকিস্তানি তারকা স্পিনার জানিয়েছেন, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে কী ভাবে টিম ম্যানেজমেন্টের চোখে ধুলো দিয়ে আলমারিতে লুকিয়ে সঙ্গে রেখেছিলেন স্ত্রীকে। রোম্যান্সে বলিউড সুপারহিটকে টক্কর দেওয়া কাহিনির শুরু ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্বের আগে। সাকলাইন বলেছেন, “টুর্নামেন্টে তখনও পর্যন্ত বৌরা টিমের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দিল, বৌদের সঙ্গে রাখা যাবে না।”

কিন্তু ‘দুসরা’র উদ্ভাবক স্ত্রী সানাকে ফেরত পাঠাতে রাজি ছিলেন না। তাই দারুণ একটা পরিকল্পনা উদ্ভাবন করেন সাকলাইন। পাকিস্তান টিমের যে যে হোটেলে ওঠার কথা, সেই তালিকা ধরিয়ে দেন স্ত্রীকে।

“টিম পৌঁছনোর আগেই হোটেলে চেক ইন করত সানা। পরে চলে আসত আমার ঘরে। কিন্তু সমস্যা ছিল আচমকা কোচ বা ম্যানেজার এসে গেলে কী করব? আমরা ঠিক করি, ঘরে কেউ এলেই সানা গিয়ে লুকাবে আলমারিতে।”

কিন্তু তা-ও ধরা পড়ে যান। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে নয়, টিমমেটদের কাছে। সাকলাইনের কথায়, “একদিন মুহম্মদ ইউসুফ আর আজহার মাহমুদ আমার ঘরে আড্ডা দিতে এসে হেসেই চলেছে। শেষে বলে, আমরা জানি ভাবী এখানে আছে। ভাবীকে আলমারি থেকে বেরিয়ে আসতে বল।” এর পর কী হয়েছিল, সেটা অবশ্য সাকলাইন আর জানাননি!