অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ,বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ ভারতের

SHARE

25540652তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে যখন সরব বাংলাদেশ তখন ভারত কুশিয়ারা নদী থেকে অতিরিক্ত পানি নেয়ার অভিযোগ করেছে। ভারতের অভিযোগ, সিলেটের কুশিয়ারা নদী থেকে অতিরিক্ত পানি নিতে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বাংলাদেশ।

ভারতের আসাম থেকে প্রকাশিত অহমিয় ভাষার দৈনিক ‘অসমীয়া প্রতিদিন’ শনিবার এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটিতে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের লোকসভা ভোটে শাসক-বিরোধী ও সাধারণ জনগণ ব্যস্ত থাকার সুযোগে বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদী থেকে অতিরিক্ত পানি নিতে নদী খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নদীটিতে এখন খনন কাজ চলছে। এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের খড়াপীড়িত সিলেট অঞ্চলের মানুষদের জন্য নদী খনন করে কৃত্রিম উপায়ে জলধারা সৃষ্টি করে কুশিয়ারা নদী থেকে অতিরিক্ত পানি নেয়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর এই পরিকল্পনায় যদি বাংলাদেশ সফল হয় তাহলে আসামের বারাক উপত্যাকা ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে।

অসমীয়া প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুশিয়ারা নদী খনন করে অতিরিক্ত পানি নিতে ১৯৯১ সালে একবার ‘ষড়যন্ত্র’ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে সময় ভারত সরকারের আপত্তির কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কুশিয়ারা নদীতে বাংলাদেশের খনন কাজের বিষয়ে উদ্বিগ্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তবর্তী করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠির সঙ্গে নদী খননের কিছু ছবিও দিয়েছে বিএসএফ। কিন্তু স্থানীয় জেলা প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো কর্মকর্তাই বিএসএফের উদ্বিগ্নের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কুশিয়া নদীতে খনন কাজে সফল হতে পারলে বাংলাদেশ এই নদীটি থেকে সব পানি নিয়ে নেবে। যার ফলে খড়ার কবলে পড়বে আসামের বারাক উপত্যাকার তিনটি জেলা করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি ও কাছাড়। এ জেলা গুলোর পানির একমাত্র উৎস হলো এই কশিয়ারা নদী।