প্রতিদিন কলা খাবেন যে ৭ কারণে

SHARE

bananaকলা পছন্দ করেন না, এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোণা। বাজারের বিভিন্ন ফলমূল খাওয়ার আগে নানা বিচার-বিশ্লেষণ করেন কেউ কেউ। তবে কলার সঙ্গে সে শত্রুতা নেই। অতি সহজলভ্য, সুলভ এ ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায় এবং প্রায় সবাই পছন্দ করেন। যে তিনটি খাদ্য শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রধান ভূমিকা রাখে, কলা তার অন্যতম। প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকায় দুধ, ডিমের সঙ্গে কলার এ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কটা প্রাচীনকাল থেকেই। আধুনিক নানা গবেষণা সে সম্পর্কটাকেই আরও পোক্ত করেছে। কলা শুধু সুস্বাদু নয়, এর বহুমুখী স্বাস্থ্য-উপকারিতা ক্ষুদ্র পরিসরে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। এখানে কলার ৭টি বিশেষ উপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:’

এক) সুস্থ-সবল হার্টের জন্য: পটাসিয়ামে পূর্ণ এ ফলটি হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখে। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, কলায় উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম ও স্বল্প মাত্রায় সোডিয়ামের উপস্থিতি উচ্চ রক্তচাপ থেকে কার্ডিওভাস্ক্যুলার ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেয়।
দুই) বিষণœতা ও হতাশা কাটাতে: কলায় প্রচুর পরিমাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ট্রিপ্টোফ্যান রয়েছে, যা বিষণœতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তিন) সুনিদ্রায় সহায়ক: কলার ভিটামিন বি৬ উপাদান সুনিদ্রায় সহায়ক। আর কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশীকে শিথিলে ভূমিকা রাখে।
চার) ক্যান্সার প্রতিরোধে: নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস কিডনির ক্যান্সার থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়। প্রতি সপ্তাহে ৪ থেকে ৬টি কলা খাওয়ার ফলে কিডনির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে অর্ধেক হ্রাস করে।
পাঁচ) হজমশক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে: হজমের জন্য দারুণ উপকারী কলা। কারণ, কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, যা আপনার হজমশক্তিকে বাড়ায় ও সুস্থ রাখে।
ছয়) বাড়তি ওজন কমাতে ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: কলায় আছে ভিটামিন-বি৬। ওজন কমাতে ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এ ভিটামিনটি।
সাত) চোখের জন্য: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের মতে, ঠিক গাজরের মতো কলাও দৃষ্টিশক্তির জন্য বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ, যা আপনার চোখকে সুরক্ষা দেয়, দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে এবং রাতের অন্ধকারে দেখার ক্ষেত্রে চোখের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।