‘চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে’

SHARE

জাতীয় চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ‘জাতীয় চা দিবস’ ২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে চা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। এ প্রেক্ষাপটে ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, এক সময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। চা বাগানের শ্রমিক ও পোষ্যদের মৌলিক চাহিদা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার স্বয়ংসম্পূর্ণ বাসস্থান নির্মাণ, ঘরে ঘরে সুপেয় পানি, শিক্ষা, গর্ভবতী মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে সম্প্রতি চা রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ উপলক্ষে চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, চা বাগানে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্পসংশ্লিষ্ট সকলে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে।