৩ বছর পর ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলকে সূচক

SHARE

মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩০ মে) পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে তিন বছরেরও বেশি সময় পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরে ছিল।

প্রায় দুই মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা শেয়ারবাজারে রোববার লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। এতে লেনদেনের শুরু হওয়ার প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্টে বেড়ে যায়। ফলে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলে সূচকটি।

তবে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করার পর তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। একের পর এক ব্যাংক পতনের তালিকায় নাম লেখানোর কারণে সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এমনকি ১০টা ২৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক এক পয়েন্ট কমেও যায়।

অবশ্য দিনে শেষে লেনদেনে আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারা ফিরে পায় শেয়ারবাজার। এতে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলকে পৌঁছে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার আট পয়েন্টে উঠে এসেছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো বাজার মূলধন রোববার আরও উচ্চতায় উঠে এসেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ দুই হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনে বাজার মূলধন বেড়েছে ৭১৬ কোটি টাকা।

রেকর্ড বাজার মূলধন ও সূচকের উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনও হয়েছে বড় অংকে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৮৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস।

এছাড়াও লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এবি ব্যাংক, নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক এবং যমুনা ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৯ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪৩টির দাম কমেছে এবং ৩৯ দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।