বিক্রেতা উধাও ১৫ কোম্পানির!

SHARE

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৭ মে) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বড় অঙ্কে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানি দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বেশি দাপট দেখাচ্ছে।

দফায় দফায় বেড়ে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এমন দাম বাড়ার পরও যাদের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার আছে তারা তা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও এই কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।

এদিন লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে কাট্টালী টেক্সটাইল। কোম্পানিটির লেনদেন শুরুর দাম ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। কয়েক দফায় দাম বাড়িয়ে কোম্পানিটির শেয়ার ১৭ টাকা ৪০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব এসেছে। এতে দাম বাড়ায় সর্বোচ্চ সীমায় চলে যায় কোম্পানিটির শেয়ার। এ দামেও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ শেয়ার বিক্রি করছেন না।

দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করা আর এক কোম্পানি নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। আগের দিন ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় থিতু হওয়া এই কোম্পানিটির শেয়ার আজ লেনদেন শুরু হয় ৬০ টাকা ৬০ পয়সা করে। যা দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা। শুরুতে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তাদের বেশিরভাগই বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে এই কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার ঘর খালি পড়ে রয়েছে।

এই দুই কোম্পানির সঙ্গে বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়ার তালিকায় রয়েছে- প্রগতী লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, ডেল্টা লাইফ, সেলভো কেমিক্যাল, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, গ্রিন ডেল্টা, সাউথইস্ট ব্যাংক, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং যমুনা ব্যাংক।

প্রগতী লাইফ : কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৮৮ টাকা ৩০ পয়সায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে ৯৭ টাকা ১০ পয়সা করে ক্রেতারা কেনার আগ্রহ দেখালেও বিক্রেতার ঘর খালি পড়ে রয়েছে।

প্রাইম ইসলামী লাইফ : কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৬৬ টাকা ৫০ পয়সায়। এখান থেকে দফায় দফায় বেড়ে ৭২ টাকায় উঠেছে। এরপরও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে, তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে বিক্রেতার ঘর শূন্য পড়ে রয়েছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ : আগের দিনের লেনদেন শেষে ১০৯ টাকা ৯০ পয়সায় থিতু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দাম আজ লেনদেন শুরু হয় ১১৩ টাকা ৯০ পয়সা করে। এই দাম বিক্রেতা না থাকায় ক্রেতারা দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে ১২০ টাকা ৮০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

ডেল্টা লাইফ : আগের দিনের লেনদেন শেষে ৮৭ টাকা ৮০ পয়সায় থিতু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দাম আজ লেনদেন শুরু হয় ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা করে। এরপর কয়েক দফা দাম বাড়িয়ে ক্রেতারা ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তারপরেও বিক্রেতার ঘর খালি পড়ে আছে।

সেলভো কেমিক্যাল : ১৭ টাকা দরে লেনদেন শুরু হওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ার কয়েক দফা দাম বেড়ে ১৭ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছে। কিন্তু যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৫২ টাকা ২০ পয়সা। এখান থেকে দাম বেড়ে ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ১২ টাকা ৩০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

এবি ব্যাংক : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ১৫ টাকা ৯০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

ওয়ান ব্যাংক : লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১৪ টাকা ৬০ পয়সা হয়ে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্রিন ডেল্টা : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৮৯ টাকা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

সাউথইস্ট ব্যাংক : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ১৭ টাকা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

জিএসপি ফাইন্যান্স : লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২২ টাকা ৯০ পয়সা হয়ে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

যমুনা ব্যাংক : লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। এখান থেকে কয়েক দফায় দাম বেড়ে ২১ টাকা ৩০ পয়সা করে কেনার প্রস্তাব আসে। এরপরও বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।