আগারগাঁওয়ের ডাক ভবন উদ্বোধন হচ্ছে কাল

SHARE

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বাক্সের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদর দফতর ‘ডাক ভবন’। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্মিত ভবনটি উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেক সভায় ডাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পৌনে এক একর জায়গার ওপর ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ডাক বিভাগের সদর দফতর আগারগাঁও চলে গেলে গুলিস্তানের খালি জায়গাটিকে সবুজময় করা হবে। যাতে পল্টন, মতিঝিলসহ ওই এলাকার মানুষ সেখানে হাঁটতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদফতরের যাত্রা শুরু হয়। স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত গুলিস্তানে জিপিওভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক সদর দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাফতরিক কর্ম পরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় ডাক অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা একান্ত জরুরি ছিল।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদফতরের জন্য ঐতিহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করবেন।